হার্ট অ্যাটাক হলে তাৎক্ষনিক যে কাজগুলো করতে হবে হার্ট অ্যাটাক হলে রোগীকে ডাক্তার বা হাসপাতালে নিতে নিতেই বেশির ভাগ সময় রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। তাই হার্ট অ্যাটাক হলে এই পদ্ধতিটি সময় নিয়ে শিখে নিন কেননা এখন কম বেশি অনেকেরই হার্টে সমস্যা রয়েছে আপনার আপনজনের প্রাণ বাচাতে হয়তো এটা কাজে লাগতে পারে।
হার্ট অ্যাটাক হলে তাৎক্ষনিক যে কাজগুলো করতে হবে
কিভাবে বুঝবেন হার্ট অ্যাটাক হয়েছে?
- হঠাৎ করে সুস্থ মানুষ অথবা অসুস্থ বুক চেপে ধরে মুহুর্তের মধ্যে মাটিতে পরে গেছে বা সেখানেই বসে পরেছে।
- বুকে প্রচন্ড চাপ মনে হচ্ছে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারছে না।
- কথা বলার ক্ষমতা ততক্ষানিক হারিয়ে ফেলতে পারে। কিন্তুু কিছু বলার চেষ্টা করছে।
- শ্বাস-প্রশ্বাস, পালস সব থেমে যেতে পারে এমন অবস্থায়ও ৫-৭ মি. এর মধ্যে যদি এই পদ্ধতি ফলো করেন (CPR) তাহলেও উপকার হলেও হতে পারে।
হার্ট অ্যাটাক হলে আপনার করনীয়
- এ্যাম্বুলেন্স বা ডাক্তারকে কল করুন।
- মুখ, নাকে কোন ময়লা, থু থু আছে কিনা বা জিহ্বা উলটে গিয়েছে কিনা দেখে নিন। থাকলে হাতের কাছে যাই পান (কাপড়) দিয়ে পরিস্কার করে দিন, জিহ্বা উল্টে থাকলে মুখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে তা সোজা করে দিন। এরপর দুই চোয়ালের মাঝে দুই দিকে চাপ দিয়ে মুখ খোলা অবস্থায় মুখ দিয়ে ফু দিতে থাকুন (আর্টিফিসিয়াল ব্রিদিং = মাউথ টু মাউথ)।
- একই সাথে বুকের ঠিক মাঝখানে একটু বায়ে (যেখানে হার্ট থাকে) হাতের তালুর গোড়ালি দিয়ে একটু ধাক্কা (ব্লো) দিন। এরপর ডান হাতের উপর বা হাত রেখে ১-২-৩…. ১-২-৩ এভাবে চাপ দিতে থাকুন। এটা মিনিটে ৭২ বারের মত করতে হয়। অর্থাৎ ঘড়ির কাটার টিক টিক এর চেয়ে একটু বেশি। যা CPR নামে পরিচিত।
- ১ ও ২ নম্বর পদ্ধতি ৫/৭ মিনিটের মত করে পালস, হার্ট সাউন্ড (যদি সম্ভব হয়), শ্বাস প্রশ্বাস দেখুন। যদি ফিরে আসে তবে বন্ধ করুন। আর ফিরে না এলে আবার ১ ও ২ রিপিট করুন।