Hsc (এইচএসসি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ২য় পত্র ৯ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান উত্তর ২০২২

Hsc (এইচএসসি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ২য় পত্র ৯ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান উত্তর ২০২২, Hsc Islamic History And Culture 2nd Paper Assignment Answers 9th Week 2022, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ২য় পত্র Hsc ৯ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট ২০২২

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ ভারতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট, উদ্দেশ্য ও ফলাফল বিশ্লেষণ;

শিখন ১. মুহম্মদ বিন কাসিমের সিন্ধু ও মুলতান বিজয়ের কারণ ও ফলাফল বিশ্লেষণ করতে পারবে।
২. মুইজউদ্দিন মুহম্মদ ঘুরী কর্তৃক ভারত উপমহাদেশে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার সংশ্লিষ্ট ঘটনাবলি বর্ণনা করতে পারবে।

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):

১. সিন্ধু বিজয়ের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ।

২. মুইজউদ্দিন মুহম্মদ ঘুরীর অভিযান পূর্ব ভারতের রাজনৈতিক অবস্থার বিবরণ।

৩.অভিযানসমূহের ইতিবাচক ফলাফল বিশ্লেষণ।

৪. পরবর্তী রাজনীতিতে মুসলিম অভিযান সমূহের প্রভাব বিশ্লেষণ।

Hsc (এইচএসসি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ২য় পত্র ৯ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান উত্তর ২০২২

১. সিন্ধু বিজয়ের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ।

উত্তর: আরবদের সিন্ধু বিজয়ের অব্যবহিত পর হতে প্রায় ৩০০ বছর ধরে সিন্ধুর স্থানীয় মুসলিম শাসকরা স্বাধীনভাবে সিন্ধু ও মুলতান শাসন করেন।
দ্বিতীয়ত সিন্ধু বিজয়ের ফলে ভারতীয় রাজন্যবর্গের মধ্যে আরব ভীতির সৃষ্টি হয় এবং তারা আত্মরক্ষার নীতি অনুসরণ করেন। তৃতীয়ত পরবর্তী মুসলিম বিজেতাগণ এ বিজয় দ্বারা বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত হয়।

আরবদের সিন্ধু বিজয়ের ফলাফল নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ লক্ষ করা যায়। ঐতিহাসিকদের অনেকে এ অভিযানকে নিষ্ফল অভিযান হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কারণ এ অভিযানের পর আরবরা ভারতে কোন স্থায়ী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। কয়েক বছরের মধ্যেই তাদের শাসনের বিলুপ্তি ঘটে। অনেকে এ অভিযানকে ফলাফল শূন্য কোন আকস্মিক ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। লেনপুলের মতে, “আরবরা সিন্ধু জয় করেছিল, কিন্তু এই বিজয় ভারতের ইতিহাসে কেবল একটি এপিসোড ছিল, আর এখানে কোন ফলাফল ছাড়াই এখানে ইসলামের বিজয় হয়েছিল।

২. মুইজউদ্দিন মুহম্মদ ঘুরীর অভিযান পূর্ব ভারতের রাজনৈতিক অবস্থার বিবরণ।

উত্তর:

আফগানিস্তান, কাশ্মীর ও কনৌজঃ

মৌর্য বংশের শাসনামল থেকেই আফগানিস্তান ছিল ভারতের একটি অংশ মুসলিম ঐতিহাসিকগণ এটিকে হিন্দুশাহী রাজ্য বলে অভিহিত করেন। সপ্তম শতাব্দিতে কর্কট রাজবংশীয় দুর্লভ বর্ধনে অধীনে কাশ্মীর ছিল উত্তর ভারতের অপর একটি স্বাধীন রাজ্য। বিজেতা, বিদ্যোৎসাহী ললিতাদিত্য মুক্তপীড় ছিলেন কাশ্মীরের রাজাদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষমতাধর। তিনি কনৌজ, কামরূপ, কলিঙ্গ ও গুজরাট জয় করেন বলে জানা যায়।কর্কট বংশের অপর একজন শাসক জয়পীড় পেঁৗড় ও কনৌজের নৃপতিদের পরাজিত করেন। অষ্টম শতাব্দির প্রথম দিকে কনৌজ ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বাধিক গুরুত্বপুর্ণ। রাজ্য হিসেবে পরিগণিত হত। উত্তর-ভারতের অন্যতম পরাক্রমশালী রাজা যশােবর্মণ কনৌজের হৃত গৌরব ও আধিপত্য পুনরুদ্ধার করেন। তিনি গৌড় জয় করে এর রাজাকে হত্যা করেন এবং কাশ্মীর রাজ ললিতাদিত্যের সহায়তায় তিব্বত অভিষান করেন। তিনি চীনে দূত প্রেরণ করেন। কাশ্মীরের রাজা ললিতাদিত্য কর্তৃক তিনি পরাজিত ও নিহত হন। যশােবর্মণ, সিন্ধুরাজ দাহিরের সমসাময়িক ছিলেন। অত:পর অষ্টম শতকের প্রথম দিকে কনৌজে গুরজর-প্রতিহার রাজবংশের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

সিন্ধু ও মালব-দিল্লি ও আজমীরঃ

সপ্তম শতকে সিন্ধু ছিল হর্ষবর্ধনের সাম্রাজ্যভূক্ত। পরবর্তীতে ‘চাচ সিন্ধুর জনৈক ব্রাহ্মণ মন্ত্রী সিন্ধুতে স্বাধীন রাজবংশের গােড়াপত্তন করেন। চাচের পুত্র রাজা দাহিরকে পরাজিত করে ইমাদউদ্দীন মুহাম্মদ বিন কাশিম ৭১২ সালে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। তবে এ রাজ্য দীর্ঘস্থায়ী হয় নি। প্রতিহার রাজপুতদের দ্বারা শাসিত মালব ছিল উত্তরভারতের একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র। উজ্জয়িনী ছিল এ রাজ্যের রাজধানী। দ্বাদশ শতকে মুসলিম “”” । অভিযানের প্রাক্কালে দিল্লি ও আজমীরে শক্তিশালী চৌহান বংশীয় রাজপুত্রগণ রাজত্ব করত।

গুজরাট, আসাম ও নেপালঃ

মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে গুজরাট ছিল গুরজর প্রতীহার বংশের অধীনে। অত:পর তাদের আধিপত্য ক্ষুন্ন করে চালক্যও ভাগেলা বংশ পর্যায়ক্রমে গুজরাট শাসন করে। নবম শতাব্দিতে চান্দেলা বংশ বুন্দেলখন্ডে এক স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে। শেষ রাজা গন্ড ১০১৯ খ্রিস্টাব্দে সুলতান মাহমুদের নিকট পরাজিত হন। ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তসীমায় অবস্থিত একটি রাজ্য হল আসাম। এটি হর্ষবর্ধনের মৃত্যুর পর সম্পূর্ণ স্বাধীন হয়। এ সময় রাজা শশাঙ্ক ছিলেন বাংলার স্বাধীন নৃপতি। হর্ষবর্ধনের সমসাময়িক এই শাসকের মৃত্যুর পর বাংলায়মৗরাত্মক গােলযােগ ও বিশৃংঙ্খলা দেখা দেয়। নেপাল সপ্তম শতাব্দিতে উত্তর ভারতের অপর একটি স্বাধীন রাজ্য। মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতের সাথে নেপালের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল।

৩.অভিযানসমূহের ইতিবাচক ফলাফল বিশ্লেষণ।

উত্তর:

মুহম্মদ ঘোরির ভারত অভিযান পূর্ববর্তী মুসলিম অভিযানগুলোর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ফলাফলের তুলনায় বেশী ছিল। মুহম্মদ বিন-কাসিমের বিজয় শুধুসিন্ধু ও মুলতানে সীমাবদ্ধ ছিল। সুলতান মাহমুদ ১৭ বার ভারত অভিযান করলেও এর তাৎক্ষনিক কোন রাজনৈতিক ফলাফল ছিল না। তাঁর অভিযানগুলো ভারতীয় রাজন্যবর্গের সামরিক শক্তি দুর্বল করে দিয়েছিল। পক্ষান্তরে মুহম্মদ ঘোরির ভারত অভিযান এদেশে মুসলমান শাসন স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত করে। তিনি মুলতান, সিন্ধু ও পাঞ্জাব দখল করার পর ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। তরাইনের যুদ্ধে জয়লাভের ফলে তিনি আজমীর পর্যন্ত এলাকা জয় করেন।

তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধের গুরুত্ব সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে ভি.এ. স্মিথ বলেন, “এই যুদ্ধ হিন্দুস্থানের উপর মুসলিম আক্রমণের চরম সাফল্যের নিশ্চয়তা দান করেছিল।” বিজিত এলাকা শাসন করার জন্য তিনি তাঁর সেনাপতি কুতুবউদ্দিন আইবেককে প্রতিনিধি হিসেবে রেখে যান। কুতুবউদ্দিনও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল জয় করে উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা মুসলিম শাসনাধীনে আনেন। বস্তুত কুতুবউদ্দিনের বিজয় ছিল তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে মুহম্মদ ঘোরির বিজয়েরই যৌক্তিক পরিণতি। কনৌজ ও বারাণসী জয় করে মুহম্মদ ঘোরি ভারতে মুসলিম বিজয়কে সুসংহত করেন।

এরপর বখতিয়ার খলজির বিহার ও বাংলা জয়ের মধ্য দিয়ে প্রায় সমগ্র উত্তর ভারতে মুসলিম রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। মুসলিম সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ ও প্রতিষ্ঠিত সাম্রাজ্য শাসনের জন্য প্রয়োজন পড়লো নতুন প্রশাসনের। মুহম্মদ ঘোরির প্রতিনিধি হিসেবে কুতুবউদ্দিন ভারতীয় প্রশাসনিক রীতির সাথে ইসলামি রীতির মিলন ঘটান। ফলে উদ্ভব ঘটে এক নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থার। তিনি প্রশাসন স্থানীয় ব্যবস্থাপকদের হাতে ন্যস্ত করেন। বিচার কাজ সম্পন্ন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মুসলমান কাজী ও ফৌজদার নিযুক্ত হন।

৪. পরবর্তী রাজনীতিতে মুসলিম অভিযান সমূহের প্রভাব বিশ্লেষণ।

উত্তর:

প্রথমত,

ব্যক্তিগত শৌর্যবীর্য ও রণনৈপুণ্যে মাহমুদ ও ঘুরীর বিশেষ খ্যাতি ছিল।

তবে সেনাপতি ও সমরনায়ক হিসেবে মাহমুদ অধিকতর সফল ও শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী ছিলেন। তিনি ছিলেন অপরাজেয় বিজেতা। মধ্য এশিয়া বা ভারত অভিযানসমূহে তাকে কখনও পরাজয়ের গ্লানি বরণ করতে হয়নি। অন্যদিকে মুহাম্মদ ঘুরী গুজরাট, তরাইনের প্রথম যুদ্ধ এবং মধ্য এশিয়ার সংঘর্ষে পরাজয়বরণ করেন।

দ্বিতীয়ত,

তাদের অভিযানের প্রকৃতি ও উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। ভারত জয় করে সেখানে স্থায়ী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা মাহমুদের লক্ষ্য ছিল না। ভারতের অগাধ ধনরত্ন ও ঐশ্বর্য সংগ্রহ করে গজনিকে সমৃদ্ধ করার বাসনায় তাড়িত হয়ে তিনি বার বার ভারত আক্রমণ করেন এবং ঘূর্ণিঝড়ের মতাে সবকিছু তছনছ করে বিপুল পরিমাণ ধনরত্ন নিয়ে স্বদেশে ফিরে যান।  অন্যদিকে মুহাম্মদ ঘুরী হিলেন বাস্তববাদী দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাষ্ট্রনায়ক। শুধু ভারতের ধনসম্পদ কুক্ষিগত করা নয়, সেখানে স্থায়ী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করাই ছিল তার মুখ্য উদ্দেশ্য।
বলা আবশ্যক যে, ঘুরী সুলতান মাহমুদ অপেক্ষা অধিকতর কুশলী ছিলেন। তিনি তদানীন্তন ভারতের দুর্বলতা ও রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার পূর্ণ সুযােগ গ্রহণ করেন এবং ভারতে স্থায়ী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য বাস্তবায়নে সফল হন।

তৃতীয়ত,

সুলতান মাহমুদের ভারত অভিযানের পিছনে খানিকটা ধর্মীয় আবেগ ছিল বলে অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন। এমনকি তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনে ধর্মকে ব্যবহার করেন বলেও অভিযােগ করা হয়। কিন্তু মুহাম্মদ ঘুরীর ক্ষেত্রে ধর্মান্ধতার অভিযােগ নেই। তিনি ধর্মনিষ্ঠ ছিলেন সত্য, তবে ধর্মান্ধ ছিলেন না। ধর্ম তার রাজনৈতিক দূরদৃষ্টিকে আচ্ছাদিত করতে পারেনি।
উভয় শাসকই জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিল্পকলার অনুরাগী ছিলেন। তবে শিল্প, সংস্কৃতিচর্চা ও পৃষ্ঠপোষকতায় মাহমুদ

চতুর্থত,

ঘুরী অপেক্ষা অনেক বেশি সফল ও শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী ছিলেন।
সমর প্রতিভা, জ্ঞান-গরিমা ও যশ খ্যাতির সার্বিক বিবেচনায় সুলতান মাহমুদ ইতিহাসে মুহাম্মদ ঘুরী অপেক্ষা খ্যাতিমান ও শ্রেষ্ঠত্বের আসনে আসীন হয়ে আছেন সন্দেহ নেই। তবে ভারতে মুসলিম শাসনের ইতিহাসে ঘুরীর অবদান সুলতান মাহমুদ অপেক্ষা অনেক বেশি।  ভারতে আক্রমণকারী হিসেবে নয় বরং স্থায়ী মুসলিম সাম্রাজ্যের স্থপতি হিসেবে মুহাম্মদ ঘুরীর নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মুহাম্মদ ঘুরী অপুত্রক ছিলেন।
১২০৬ খ্রিষ্টাব্দে ঘুরীর মৃত্যুর পর তার ভ্রাতুষ্পুত্র মাহমুদ ঘুরী সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন।

তিনি ছিলেন অত্যন্ত দুর্বল ও অযােগ্য শাসক। তাঁর দুর্বলতার সুযােগে মুহাম্মদ ঘুরীর সহযােগী তাজউদ্দিন ইয়ালদুজ গজনিতে, নাসিরউদ্দিন কুবাচা সিন্ধুতে এবং কুতুবউদ্দিন আইবেক দিল্লিতে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
দুর্বলচিত্ত মাহমুদ ঘুরীর পক্ষে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। তদুপরি তার মৃত্যুর পর সিংহাসনকে কেন্দ্র করে যে গৃহবিবাদ শুরু হয়, সে সুযােগে খাওয়ারিযম শাহ ঘােররাজ্য অধিকার করে নেন। ফলে ঘুরী বংশের শাসনের অবসান ঘটে।

দলীয় কাজ : সফল শাসক হিসেবে মুহাম্মদ ঘুরী ও সুলতান মাহমুদের কৃতিত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে একটি দলীয়
বিতর্কের আয়ােজন কর।
উপস্থিত বক্তৃতা: ভারতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে বিভিন্ন শাসকদের অবদান সম্পর্কে উপস্থিত বক্তব্য।

 

 

আরো দেখুন

About Jobsjoin 24

Check Also

৭ম সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২

৭ম/সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২

৭ম/সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, মাধ্যমিক ৭ম/সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *